Class 7 Sahityamela
নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়
অধ্যায় ২৫
নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জ ছায়ায়
কবি পরিচিতি
১৮৬১ সালের মে মাসের সাত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম প্রাণ-পুরুষ। বাড়ির পরিবেশেই তাঁর শৈশবের শিক্ষা শুরু হয়েছিল। শৈশব থেকেই সংগীতের প্রতি নিবিড় আকর্ষণ দেখা যায়। অসংখ্য গানের স্রষ্টা তিনি। প্রেম, প্রকৃতি, পূজা, স্বদেশ পর্যয়ের গান লিখেছিলেন তিনি। ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জ ছায়ায়’ তাঁর প্রকৃতি বিষয়ক গান।
সঠিক অর্থ অভিধান
অঞ্জন-কাজল; অম্বর-আকাশ; কায়-দেহ; কম্পিত- কাঁপছে এমন; ঝঙ্কৃত-ঝঙ্কারময়; মন্ত্রীর-নূপুর; মন্দ্রিত-গম্ভীর শব্দে ধ্বনিত; কদম্ববন-কদমের বন; মগন-মগ্ন; নন্দিত-আনন্দিত; দহন শয়ন-আগুনের শয্যা; তপ্ত-গরম; ধরণী-পৃথিবী।
বিষয়বস্তু
রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলির মধ্যে বিরাট বিস্তৃত জায়গা করে নিয়েছে বর্ষাসংগীত। বর্ষণমুখর বিশেষ একটি দিনকে সামনে রেখে এই গানটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। সমস্ত আকাশ নীল মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে
রয়েছে। আকাশে শোনা যাচ্ছে গুরু গুরু ডাক। বাতাসে আন্দোলিত হচ্ছে বনলক্ষ্মীর অঞ্চল। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে ঝিল্লির রব। বৃষ্টিপাতের শব্দে চারিদিক মুখরিত। কদম্বফুলের গন্ধে বিশ্বপ্রকৃতি আমোদিত।গ্রীষ্মের দহন শয্যায় যখন ধরণী ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, পিপাসার্ত হয়েছিল জীবজগৎ; তখন ইন্দ্রলোক থেকে অমৃতবারির বার্তা নিয়ে বর্ষার আগমন হয়েছিল পৃথিবীতে। তার আগমনী বার্তায় রুক্ষ্ম মৃত্তিকা নবজীবন পেয়েছিল। নব অঙ্কুরে ভরেছিল ধরণীর নানাপ্রান্ত। চারিদিকে। দেখা গিয়েছিল সবুজের অপূর্ব সমারোহ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১. বনলক্ষ্মীর দেহ ও অন্তর কেমন?
উত্তর:
২. বর্ষণগীত কার ছন্দে মুখরিত?
উত্তর:
৩. দহন শয়নে পৃথিবী কেমন ছিল?
উত্তর:
৪. তপ্ত ধরণীকে ইন্দ্রলোক থেকে কী পাঠানো হয়েছে?
উত্তর:
৫. কার অন্তর চঞ্চল?
উত্তর:
৬. “ঝঙ্কৃত তার ঝিল্লির মঞ্জীর”-কার মঞ্জীরের ঝংকার
শোনা যায়?
উত্তর :
৭. “বর্ষণগীত হল মুখরিত”- ‘বর্ষণগীত’ কোন্ ছন্দে মুখরিত
হয়েছে?
উত্তর: ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ নামাঙ্কিত গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, বর্ষণগীত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে মুখরিত হয়েছে।
৮. “দহনশয়নে তপ্ত ধরণী”-দহনশয়নে ধরণীর কী অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর:
৯. ইন্দ্রলোকের কোন্ বার্তা কার কাছে পৌঁছেছিল?
উত্তর:
১০. “মাটির কঠিন বাধা হলো ক্ষীণ”-মাটির কঠিন বাধা কীভাবে ক্ষীণ হয়েছিল?
উত্তর:
১১. “ছিন্ন হয়েছে বন্ধন”-কার বন্ধন কীভাবে ছিন্ন হয়েছে?
উত্তর:
১২. “বনলক্ষ্মীর কম্পিত কায়, চঞ্চল অন্তর”-বনলক্ষ্মী কে? তাঁর অন্তর চঞ্চল হয়েছিল? কেন?
উত্তর:
১৩. “নন্দিত তব উৎসবমন্দির হে গম্ভীর”-এখানে কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করা হয়েছে? উৎসবমন্দির কেন গম্ভীর, তা গানটি অবলম্বন করে লেখো। ***
উত্তর:
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ:
১৪. “পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা”- ‘তাহারে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখো।**
উত্তরের প্রথমাংশ:
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ:
১৫. “ছিন্ন হয়েছে বন্ধন”-কার বন্ধন কীভাবে ছিন্ন হয়েছে, তা কবিতা অবলম্বনে লেখো।**
উত্তর:
শূন্যস্থান পূরণ করো:
ঝঙ্কৃত তার ——–হে গম্ভীর।
১. উত্তর:
২. নব-অঙ্কুর———- ধরাতল
উত্তর:
৩. নন্দিত তব——–হে গম্ভীর।
উত্তর:
সংযোজিত প্রশ্ন
১. কবিতাটি পড়ে, শূন্যস্থান পূরণ করো:
——গভীর মগন আন্দঘন—–
নন্দিত তব——– গে গম্ভীর।।
——-তপ্ত ধরণী পড়েছিল——–
পাঠালে তাহারে——–বার্তা।
উত্তর:
২. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তিত করো +
কম্পিত, চঞ্চল, ঝংকৃত, মুখরিত, নন্দিত, ছিন্ন।
উত্তর
৩. বাক্য রচনা করো/বাক্যে প্রয়োগ করো: অম্বর, চঞ্চল, ঝিল্লি, বর্ষণগীত, মেঘমন্দ্রিত, ছন্দে, আনন্দঘন, তপ্ত, কঠিন, জয়পতাকা, ধরাতল, গম্ভীর, বন্দি।
উত্তর:
৪. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
কম্পিত, চঞ্চল, অন্তর, রব, লক্ষ্মী, মুখর, গভীর, তপ্ত, সংবৃত, কঠিন, বন্দি।
উত্তর:
৫. সমার্থক শব্দ লেখো:
ঘন, অম্বর, বন, গম্ভীর, মেঘ, বারি, ধরণী, মাটি, ধরা, পিপাসা,
দহন, সংবৃত
উত্তর:
৬. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :
৬.১ নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়া সংবৃত অম্বর।
উত্তর:
৬.২ চঞ্চল অন্তর।
উত্তর :
৬.৩ ঝঙ্কৃত তার ঝিল্লির মন্ত্রীর।
উত্তর :
৬.৪ মেঘমন্দ্রিত ছন্দে।
উত্তর:
৬.৫ কদম্ববন গভীর মগন আনন্দঘন গন্ধে।
উত্তর:
৬.৬ পাঠালে তাহার ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা।
উত্তর:
৬.৭ দহনশয়নে তপ্ত ধরণী।
উত্তর :