Chapter 10
Class 7 Sahityamela
পটলবাবু ফিল্মস্টার
অধ্যায় ৩৩
পটলবাবু ফিল্মস্টার
লেখক পরিচিতি
বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখক হলেন সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২ খ্রি.)। ইনি একই সঙ্গে ছিলেন চিত্র পরিচালক, সংগীত স্রষ্টা ও সাহিত্য রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হল-‘সোনার কেল্লা’, ‘বাদশাহী আংটি’, ‘এক ডজন গপ্পো’, ‘আরো বারো’। ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু তাঁর রচিত অসাধারণ চরিত্র।
‘পটলবাবুর ফিল্মস্টার’ তাঁর ‘একডজন গপ্পো’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু
‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ নামাঙ্কিত গল্পে অভিনয় মানুষের জীবনে কতখানি শখ ও সাধনার জায়গা তার প্রমাণ নিঃসন্দেহে পটলবাবুর মতো শিল্পরসিক মানুষ। পটলবাবুর জীবনে শিল্প আসলে এমন এক সাধনার জায়গা, যেখানে সামান্য একটি সংলাপও তার কাছে বিরাট মূল্যবান।পটলবাবু একসময় যাত্রায়, থিয়েটারে, পুজো-পার্বণে, পাড়ার ক্লাবে অসীম উৎসাহের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। পঞ্চাশ বছরের, বেঁটেখাটো, মাথায় টাক- এমন এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে তার খোঁজ পড়েছিল। সকালবেলায় এমন একটি খবর তার জীবনে বিরাট আশার আলো নিয়ে আসে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রকাশ করার সুযোগ পাবেন জেনে তিনি সময়ের আগেই পৌঁছে যান ফ্যারাডে হাউসের সামনে। তাকে এক পথচারীর ভূমিকায় অভিনয় করতে হবে। কিন্তু সেই অভিনয়ের অংশটি অতি সামান্য। একটি মাত্র সংলাপ, তাও আবার একটি মাত্র পূর্ণবাক্যও বলার জায়গা নেই। সংলাপটি হল অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ‘আঃ’ কথাটুকু উচ্চারণ করা। এই সামান্য সংলাপের কথা শুনে হতবাক হন পটলবাবু। তিনি নিতান্তই শুকনো গলায় জানতে চান ‘শুধু “আঃ”? আর কোনো কথা নেই?’ কিন্তু শশাঙ্ক জানায়, এটা কোনো অংশে কম নয়। কেননা, এ হলো ‘রেগুলার স্পিকিং পার্ট’।
এই সময় বিমর্ষ পটলবাবুর নাট্যগুরু গগন পাকড়াশির কথা মনে আসে। তিনি কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘যত ছোটো পার্টই তোমাকে দেওয়া হোক, তুমি জেনে রেখো তাতে কোনো অপমান নেই।’ এই মূল্যবান উপদেশকে মাথায় রেখে পটলবাবু সামান্য ওই সংলাপটুকুর মধ্যে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে নিংড়ে দেন। তিনি চূড়ান্ত অভিনয়ের আগে একটি সংবাদপত্র রাখতে চান পরিচালক তাতে রাজি হলে অত্যন্ত সফলভাবে তার সামান্য সংলাপটুকু উচ্চারণ করে দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।
অভিনয়ের সামান্য জায়গাতেও কী অসামান্য শিল্প সৃষ্টি করা যায় পটলবাবু তা দেখিয়ে দেন। তিনি কোনোরকম পারিশ্রমিক না নিয়ে মনের খুশিতে চলে যান। আসলে তার মধ্যে ছিল অদ্ভুত এক শিল্পী মন। সেই শিল্পী মানুষটি অর্থ চাননি, চেয়েছিলেন নিজের স্বীকৃতি। পটলবাবু সেই স্বীকৃতি অর্জন করে নিয়েছিলেন তাঁর সামান্য সংলাপটুকুর নিখুঁত উচ্চারণে।
নামকরণের সার্থকতা
পটলবাবু জীবনযুদ্ধের একজন ক্ষতবিক্ষত সাধারণ মানুষ। তিনি হঠাৎ অভিনয়ের সুযোগ পান। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে অভিনয় করেন। তাই গল্পটির নাম ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ সঠিক।
সঠিক অর্থ অভিধাস
গলি-চট নির্মিত ঝুলি বা ব্যাগ। টেগোর্ক্স বার্থ ডে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সিন-দৃশ্য। পেমেন্ট পারিশ্রমিক। অনুমান-আন্দাজ। আশ্চর্য-অবাক। সন্ত্রীক-স্ত্রীর সহিত। হাঁক-ডাক। ফার্মেসি-ওষুধের দোকান। হদিশ-খোঁজ। অভাবনীয়-অপ্রত্যাশিত।
ছাঁটাই– বরখাস্ত। ঘণ্টাখানেক– প্রায় একঘণ্টা। খুড়তুতো– কাকা সম্বন্ধীয়। সন-বছর। আবছা-অস্পষ্ট। জিনি জিতে। গম্ভীরভাবে রেগে গিয়ে। স্ট্রিট-রাস্তা। আপাদমস্তক-পা ঘেরে মাথা পর্যন্ত। স্টুডিয়ো-প্রেক্ষাগৃহ। পেডেস্ট্রিয়ান-পথচারী। হাউস-বাড়ি। বিল্ডিং-বহুতল। ডার্ক-কালচে। ফরমাশ-নির্দেশ বেমালুম-যা বোঝা যায় না। শখ-ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অগ্রহ। শখের থিয়েটার-নিজেদের পছন্দ মতো থিয়েটারে অভিনয় করা। এখানে বাণিজ্যিক থিয়েটারের মতো সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার প্রয়োজন নেই। উনিশ শতকে উচ্চবিত্ত শিক্ষিত ব্যক্তিরা এমন শখের থিয়েটার তৈরি করেছিলেন। পার্বণ-উৎসব, লৌকিক উৎসব। হ্যান্ডবিল-প্রচারপত্র। ছাঁটাই-কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা। সাধ-ইচ্ছা। রোজগার-উপার্জন, আয়। ধান্দা- কাজকর্মের সন্ধানে যাওয়া। ঔদ্ধত্য-উদ্ধত আচারণ। মনিহারি-বাচ্চাদের খেলনা ও শৌখিন দ্রব্যাদি। দালাল-ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী। অজান্তে-না জেনে। আবছা-অস্পষ্ট। স্মরণশক্তি-মনের রাখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি। পুনঃপুন-বারবার। দোহারা-মাঝারি গঠন বিশিষ্ট। উবে গেল-বাতাসে মিলিয়ে যাওয়া। ইনসিওরেন্স-বিমা। গাণ্ডীব-অর্জুনের বিশ্বজয়ী ধনুক। স্বপক্ষ-নিজের পক্ষ। বৃকোদর ভীম। তোড়জোড়-প্রস্তুতি। আগন্তুক-নবাগত, অতিথি। পার্ট-কোনো একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়। ধা-চকিতে। রিহার্সাল- অনুশীলন। বাজিমাত- সবাইকে চমকে দেওয়া। পাংচুয়াল-সময়নিষ্ঠ। আলবত-অবশ্যই, নিশ্চয়। ভৰ-ইহলোক, পৃথিবী। গদা-মুগুর জাতীয় অস্ত্র। সঞ্চালন-চালনা। চানক্য- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের অর্থ মন্ত্রী। ইনি ‘অর্থশাস্ত্র’ নামে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। মহারণ-ভীষণ যুদ্ধ। নির্জন-জনহীন। হুংকার-গর্জন। পুনর্যৌবন-পুনরায় যৌবনপ্রাপ্তি। সাধে-ইচ্ছে করে। গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল-আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা। আড়াআড়ি-কোনাকুনি। ঠাহর-অনুমান। খদ্দর-সুতি বস্তু। নট এ সিঙ্গল ডে-একদিনের জন্যেও না। ওয়েট-অপেক্ষা। ছাউনি আচ্ছাদন, চাঁদোয়া। অপদস্থ অসম্মান করা। রানিং-গতিশীল। হনহনিয়ে দ্রুত পায়ে চলা। তরতরিয়ে-অত্যন্ত ব্যস্তভাবে। ডগা-অগ্রভাগ। লেট-দেরি। ক্লিয়ার পরিষ্কার। বায়োস্কোপ-চলচ্চিত্র। নার্ভাস ঘাবড়ে যাওয়া। স্টার্ট সাউন্ড-শব্দগ্রহণ শুরু করো। হুমড়ি-উপুড়। গুঞ্জন-মৃদু কলাহল। বেড়ে-চমৎকার। রংতামাশা-ঠাট্টা। রেগুলার- প্রতিদিন। দৃত্পাত-দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। কুণ্ডলী পাকিয়ে-দলা পাকিয়ে। অবশ-অসাড়। সংসর্গে সাহচর্যে। ফুটুনি-বড়াই করা। লেশমাত্র- বিন্দুমাত্র। তাচ্ছিল্য-অবজ্ঞা। খাদ-নিম্নস্বর। ভায়া-আদরের ডাক। সটকাবেন না-পালিয়ে যাবেন না। হিট-জনপ্রিয়। ঘুম-স্তম্ভিত। নির্বিবাদী-বিবাদহীন। ইম্পর্ট্যান্ট-গুরুত্বপূর্ণ। মণ-৪০ কেজি পরিমাণ ওজন। নিকুচি-দফারফা করা। ভড়ং-ভন্ডামি। কলিশন-ধাক্কা। রেডি-প্রস্তুত। তারিফ-প্রশংসা। ঠোকা-আঘাত করা। অকেজো অকর্মণ্য। কদর-খাতির। খালাশ-রেহাই। বিকৃত-বিকারপ্রাপ্ত। রোমাঞ্চ-রোমহর্ষক, শিহরণ। তীক্ষ্ণ-শাণিত। টাইমিং-সময়জ্ঞান। চোট-আঘাত। আচ্ছন্ন-আবৃত। কন্দর-মর্যাদা। নিখুঁত-খুঁতহীন।
১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো।
১১ পটলবাবু অভিনয়ের সময়ে সংলাপ হিসেবে বলেছিলেন (ওঃ/উঃ/আঃ) শব্দটি।
১.২ অভিনয়ের সময় পটলবাবুর হাতে ছিল (আনন্দবাজার পত্রিকা/যুগান্তর/স্টেটসম্যান)।
১.৩ অভিনয়ের সময় পটলবাবুর নাকের নীচে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল (ঝুপো দেওয়া/বাটারফ্লাই) গোঁফ।
১.৪ (বরেন দত্ত/বরেন মল্লিক/বরেন চৌধুরী)-র পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন পটলবাবু।
১.৫ করালীবাবুর বাড়িতে (কীর্তন/শ্যামাসংগীত/কথকতা) হয় (শনিবার বিকেলে/রবিবার সকালে/রবিবার বিকেলে)।
২. নীচের এলেমেলো ঘটনাগুলি গল্পের ঘটনাক্রম অনুযায়ী লেখো।
৩. গল্প থেকে এই যে অংশটি নীচে উদ্ধৃত করা হয়েছে, শুটিং-এর সেই ব্যস্ত পরিস্থিতিটি তোমার নিজের ভাষায় নতুন করে লেখো।
৪. নীচের শব্দগুলির অনুরূপ শব্দ পাঠ্যাংশটিতে পাবে। খুঁজে নিয়ে লেখো।
৫. নীচের শব্দগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার নতুন করে লেখো।
৫.১ বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা কতটা ইম্পর্ট্যান্ট?
৫.২ এই, দাদুকে ডায়ালোগ লিখে দে।
৫.৩ একজন অন্যমনস্ক, বদমেজাজি পেডেস্ট্রিয়ান…
৫.৪ তাহলে একটু ওদিকে সরে গিয়ে ওয়েট করুন।
৫.৫ আজ তো ট্যাগোরস বার্থ ডে।
৫.৬ সাইলেন্স! রোদ বেরিয়েছে।
৫.৭ থিয়েটার এর চেয়ে শতগুণে ভালো...
৫.৮ আপনি তো বেশ পাংচুয়াল দেখছি।
৬. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্য রচনা করো
৭. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্য রচনা করো।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ আর পূরণবাচক শব্দগুলি খুঁজে বার করে লেখো।
৮.১ নিশিকান্ত ঘোষ মশাই নেপাল ভাজ্যি লেনে পটলবাবুর তিনখানা বাড়ি পরেই থাকেন।
৮.২ বছর ত্রিশেক বয়স, লম্বা দোহারা চেহারা।
৮.৩ বাহান্ন বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয় করার প্রস্তাব আসতে পারে এটা… অনুমান করা কঠিন বৈকি!
৮.৪ পটলবাবুর ন’বছরের সাধের চাকরিটি কপূরের মতো উবে গেল।
৮.৬ সেইটের সামনে ঠিক সাড়ে-আটটায় পৌঁছে যাবেন।
৮.৭….পটলবাবু দশ আনা বিরক্তির সঙ্গে তিন আনা বিস্ময় ও
তিন আনা যন্ত্রণা মিশিয়ে ‘আঃ’ শব্দটা উচ্চারণ করে… চলতে
আরম্ভ করলেন।
৯. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে পদান্তরিত করে লেখো। উত্তর: উৎকণ্ঠা-উৎকণ্ঠিত, প্রয়োগ-প্রয়োগযোগ্যতা, উচ্চারণ- উচ্চারিত, বিরক্তি-বিরক্ত, দন্ত-দাম্ভিক, ঔদ্ধত্য-ঔদ্ধত্যতা, অনুভব-অনুভাবিত, পরিবেশন-পরিবেশিত।
১০. নীচের শব্দগুলি দিয়ে নতুন বাক্য রচনা করো।
১১. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো।+
গভীর, বিকৃত, নির্জন, সার্থক, সংযত, নির্বিবাদী, তীব্র, উচিত
১২. নিম্ন রেখাঙ্কিত অংশের কারকবিভক্তি নির্ণয় করো।
১২.১ নরেশ ভিড় ঠেলে এসে বলল, আপনি এই ছায়াটায় দাঁড়ায় একটু।
১২.২ এবার পটলবাবু লোকটিতে দেখতে পেলেন।
১২.৩ নরেশ একভাঁড় চা নিয়ে পটলবাবুর দিকে এগিয়ে এলো।
১২.৪ শশাঙ্ক তার হাতের খাতা থেকে একটা সাদা পাতা ছিঁড়ে কলম দিয়ে তাতে কী জানি লিখে কাগজটা পটলবাবুকে দিল।
১৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১৩.১ পটলবাবুর কাছে যেদিন ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, সেদিন ছুটির দিন ছিল কেন?
১৩.২ বাজারে গিয়ে কেন গৃহিণীর ফরমাশ গুলিয়ে গেল পটলবাবুর। ।
১৩.৩ থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল?
১৩.৪ উনিশশো চৌত্রিশ সালে পটলবাবু কলকাতায় বসবাস করতে এলেন কেন?
১৩.৫ পাড়ায় থিয়েটারের দল গড়া আর হলো না কেন পটলবাবুর?
১৩.৬ পটলবাবু তাঁর সময়নিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য কোন্ উদাহরণ দিতে ভালোবাসতেন?
১৩.৭ “পটলবাবুর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল”-পটলবাবু এমন লজ্জা পেলেন কেন?*
১৩.৮ “গগন পাকড়াশি আজ তাঁকে দেখলে সত্যিই খুশি হতেন।”-তিনি খুশি হতেন কেন?
১৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও।
১৪.১ “আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল”- কার মনে পড়ে গেল পটলবাবুর কথা? পটলবাবুর কথাই বিশেষ করে তাঁর মনে পড়ল কেন?**
১৪.৩ কার উপদেশের স্মৃতি পটলবাবুর অভিনেতা-সত্তাকে জাগিয়ে তুলল? কোন্ ‘অমূল্য’ উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন পটলবাবুকে?
১৪.৪ “ধন্যি মশাই আপনার টাইমিং! বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়-ওঃ!”-বক্তা কে? কোন্ ঘটনার ফলে তাঁর এমন মন্তব্য?***
১৪.৫ “এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি”-এই অনুভব কীভাবে জাগল পটলবাবুর মনে?*
১৪.৬ পটলবাবুর ফিল্মে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রোডাকশন ম্যানেজার নরেশ দত্তের অনেকগুলি ব্যস্ত মুহূর্ত। টুকরো মুহূর্তগুলি জোড়া দিয়ে নরেশ দত্ত নামে মানুষটির সম্পূর্ণ ছবি নিজের ভাষায় তৈরি করো।***
১৫. দশটি বাক্যের মধ্যে উত্তর দাও।
১৫.১ ‘আঃ’-এই একটিমাত্র শব্দের উচ্চারণ কৌশলে আর অভিনয় দক্ষতায় একটা আস্ত অভিধান লিখে ফেলা যায়, শব্দটি নিয়ে ভাবতে এমনটাই মনে হয়েছিল অভিনেতা পটলবাবুর। পটলবাবুর ভাবনা-ধারা কি ঠিক বলে মনে হয় তোমার? ‘আঃ’ শব্দের উচ্চারণে কত ধরনের ভাবপ্রকাশ সম্ভব বলে তোমার মনে হয়?
১৫.২ “সে কী, টাকা না নিয়েই চলে গেল নাকি লোকটা। আচ্ছা ভোলা মন তো।”-তোমার কী মনে হয়, সফলভাবে কাজ করার পরেও কেন টাকা না নিয়েই চলে গিয়েছিলেন পটলবাবু। পটলবাবু চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি কি যথার্থ বলে মনে হয় তোমার? নিজের যুক্তি দিয়ে লেখো।
উত্তর: পটলবাবুর টাকা না নিয়ে চলে যাওয়ার কারণ তাঁর কাছে টাকার চেয়ে বড়ো হল আত্মপরিতৃপ্তি।
• পটলবাবু অভিনয় করায় আত্মপরিতৃপ্তি লাভ করেছেন। যেটা একটা সবচেয়ে বড়ো সাফল্যের দিক। যেটা টাকা দিয়ে অর্জন করা যায় না। যেটাকে অন্য কোনো জিনিসের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তিনি সামান্য কাজকে নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। তাই পটলবাবুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক।
১৫.৩ কেমন করে শুটিং চলে, তার জীবন্ত কিছু টুকরো টুকরো ছবি উঠে এসেছে এই গল্পের আনাচে কানাচে। সেইসব টুকরো জুড়ে জুড়ে নিজের ভাষায় শুটিং-এর মুহূর্তগুলির একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরি করো।
১৫.৪ অভিনয়ের নানা ধরনের প্রসঙ্গ এই গল্পে ছড়িয়ে আছে। থিয়েটার আর সিনেমার অভিনয়ের ধরনের সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্যের কিছু কথা মনে এসেছিল পটলবাবুর। পটলবাবুর মতামত নিজের ভাষায় লিখে, এবিষয়ের তোমার কোনো মতামত থাকলে তাও জানাও।
১৫.৫ বছর পঞ্চাশের বেঁটেখাটো টাকমাথা নাট্যপ্রিয় পটলবাবুরে
তোমার কেমন লাগল নিজের ভাষায় লেখো।
সং যো জি ত প্র শ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১ পটলবাবু কে?
১.২ নিশিকান্তবাবু কে?
১.৩ নরেশ দত্ত কে?
১.৪ পটলবাবু কোথায় থাকেন?
১.৫ নিশিকান্তবাবুর ছোটো শ্যালকের নাম কী?
১.৬ নরেশ দত্ত দেখতে কেমন?
১.৭ পটলবাবুর নাট্যগুরু কে ছিলেন?
১.৮ পটলবাবুর কথা অনুসারে পরিচালক তাঁকে কোন্ কাগজ
দিয়েছিলেন?
১.৯ সিনেমায় পটলবাবুর স্পিকিং পার্টটি কী ছিল?
১.১০ চঞ্চলকুমার কে ছিলেন?
১.১১ থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল?
১.১২ পটলবাবু কত বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পান?
১.১৩ ‘আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল’-উক্তিটির বক্তা কে?
১.১৪ নিশিকান্ত ঘোষ কোথায় থাকেন?
১.১৫ ‘বেশ আমুদে লোক’-কাকে আমুদে লোক বলা হয়েছে?
১.১৬ ‘এই ধরনের একটা খবর পটলবাবু আশাই করেননি’- কোন্ খবরের কথা বলা হয়েছে?
১.১৭ ‘তুমি তো অভিনয়-টভিনয় করেছ এককালে’-কে কাকে একথা বলেছেন?
১.১৮ অভিনয়ের জন্য কোন্ পার্টটি পটলবাবুকে দেওয়া হয়েছিল?
১.১৯ পটলবাবু কখন কলকাতায় চলে আসেন?
১.২০ অভিনয়ের শুটিং কোথায় হয়েছিল?
১.২১ মেকাপের সময় পটলবাবুকে কেমন গোঁফ দেওয়া হয়েছিল?
১.২২ পটলবাবুর অভিনীত সিনেমার পরিচালক কে ছিলেন?
১.২৩ পটলবাবু একসময় কোথায় কোথায় অভিনয় করেছিলেন?
১.২৪ থিয়েটারে অসাধারণ অভিনয়ের জন্যে কে পটলবাবুর সঙ্গে
হ্যান্ডশেক করেছিলেন?
১.২৫ কে সত্তর বছর বয়সে চাণক্যের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন?
১.২৬ নরেশ দত্ত পটলবাবুকে শুটিং করার দিন কী বলে সম্বোধন করেছিলেন?
১.২৭ পটলবাবুর সংলাপটি কী ছিল?
১.২৮ পটলবাবুকে কে সংলাপ লিখে দিয়েছিলেন?
১.২৯ পরিচালকের কটি ছবি পরপর হিট করেছিল?
১.৩০ ‘এবার শট নেওয়া হবে’-বক্তা কে?
সংক্ষেপে উত্তর দাও:
২.১ “এটা তাঁর মতো নগণ্য লোকের পক্ষে অনুমান করা কঠিন”- ‘এটা’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? কী অনুমান করা কেন কঠিন বলে মনে হয়েছে?**
২.২ বাজার করতে গিয়ে পটলবাবু সব গুলিয়ে ফেললেন কেন?
২.৩ ‘এককালে পটলবাবুর রীতিমতো অভিনয়ের শখ ছিল’-পটলবাবু অভিনয়ের যে শখ তার পরিচয় দাও।
২.৪ পটলবাবুর থিয়েটার দল গড়ার স্বপ্ন সফল হয়নি কেন?
দল গড়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়।
২.৫ “কী-না করেছেন পটলবাবু”-পটলবাবুর কাজকর্মের পরিচয় দাও।
২.৬ “কিন্তু পার্টটা কী বললেন না?”- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই বক্তব্য প্রকাশ করেছেন? তাঁর পার্ট কী ছিল?
২.৭ ‘পটলবাবুর ধাঁ করে জরুরি প্রশ্ন মাথায় এসে গেল’-প্রশ্নটি কী ছিল?
২.৮ ‘যা বুঝছি-বুঝলে গিন্নি’-বক্তা কে? তিনি কী বুঝেছিলেন?**
২.৯ “এদের যে কী কাজ সেটা ঠাহর করতে পারলেন না”-বক্তা কে? তিনি কী ‘ঠাহর’ করতে পারছিলেন না?
২.১০ ‘থিয়েটারেও ওই নামে জানত’-এখানে কোন্ নামটির কথা বলা হয়েছে? এই প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ কী?
২.১১ “ঋষিতুল্য মানুষ আর শিল্পীর সেরা শিল্পী”-কে, কার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন? তাঁকে স্মরণ করার কারণ কী?
ব্যা ক র ণে র স হ জ পা ঠ
১. সমার্থক শব্দ লেখো:
মাথা, হাত, চাদর, পা, চোখ, বেঁটে, নুন, আগে, ডগা, ভব,পার্বণ, গিন্নি।
২. বিপরীত শব্দ লিখে বাক্য রচনা করো: প্রশংসা, নিষ্ঠুর, অভাব, ভাগ্যবান, নিয়মিত, অপমান, সংযত, সাফল্য, নিরুৎসাহ, ধৈর্য, তীব্র, সহ্য, মৃত, ক্ষতি, স্মৃতি।
৩. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:
৩.১ পটলবাবু থলে নিয়ে বেরিয়ে এসে বললেন।
৩.২ সে ফিল্মে কাজ করে।
৩.৩ পটলবাবু বায়োস্কোপ খুবই কম দেখেন।
৩.৪ একটা খবর পটলবাবু আশাই করেননি।
৩.৫ তাঁর নামে টিকিট বিক্রি হয়েছে বেশি।
৩.৬ তিনি থাকতেন কাঁচরাপাড়ায়।
৩.৭ থামের কাছটা থেকে এদিকে হেটে আসতে শুরু করবেন।
অধ্যায় ৩৩
পটলবাবু ফিল্মস্টার
লেখক পরিচিতি
বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় লেখক হলেন সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২ খ্রি.)। ইনি একই সঙ্গে ছিলেন চিত্র পরিচালক, সংগীত স্রষ্টা ও সাহিত্য রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হল-‘সোনার কেল্লা’, ‘বাদশাহী আংটি’, ‘এক ডজন গপ্পো’, ‘আরো বারো’। ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু তাঁর রচিত অসাধারণ চরিত্র।
‘পটলবাবুর ফিল্মস্টার’ তাঁর ‘একডজন গপ্পো’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু
‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ নামাঙ্কিত গল্পে অভিনয় মানুষের জীবনে কতখানি শখ ও সাধনার জায়গা তার প্রমাণ নিঃসন্দেহে পটলবাবুর মতো শিল্পরসিক মানুষ। পটলবাবুর জীবনে শিল্প আসলে এমন এক সাধনার জায়গা, যেখানে সামান্য একটি সংলাপও তার কাছে বিরাট মূল্যবান।পটলবাবু একসময় যাত্রায়, থিয়েটারে, পুজো-পার্বণে, পাড়ার ক্লাবে অসীম উৎসাহের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। পঞ্চাশ বছরের, বেঁটেখাটো, মাথায় টাক- এমন এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে তার খোঁজ পড়েছিল। সকালবেলায় এমন একটি খবর তার জীবনে বিরাট আশার আলো নিয়ে আসে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রকাশ করার সুযোগ পাবেন জেনে তিনি সময়ের আগেই পৌঁছে যান ফ্যারাডে হাউসের সামনে। তাকে এক পথচারীর ভূমিকায় অভিনয় করতে হবে। কিন্তু সেই অভিনয়ের অংশটি অতি সামান্য। একটি মাত্র সংলাপ, তাও আবার একটি মাত্র পূর্ণবাক্যও বলার জায়গা নেই। সংলাপটি হল অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ‘আঃ’ কথাটুকু উচ্চারণ করা। এই সামান্য সংলাপের কথা শুনে হতবাক হন পটলবাবু। তিনি নিতান্তই শুকনো গলায় জানতে চান ‘শুধু “আঃ”? আর কোনো কথা নেই?’ কিন্তু শশাঙ্ক জানায়, এটা কোনো অংশে কম নয়। কেননা, এ হলো ‘রেগুলার স্পিকিং পার্ট’।
এই সময় বিমর্ষ পটলবাবুর নাট্যগুরু গগন পাকড়াশির কথা মনে আসে। তিনি কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘যত ছোটো পার্টই তোমাকে দেওয়া হোক, তুমি জেনে রেখো তাতে কোনো অপমান নেই।’ এই মূল্যবান উপদেশকে মাথায় রেখে পটলবাবু সামান্য ওই সংলাপটুকুর মধ্যে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে নিংড়ে দেন। তিনি চূড়ান্ত অভিনয়ের আগে একটি সংবাদপত্র রাখতে চান পরিচালক তাতে রাজি হলে অত্যন্ত সফলভাবে তার সামান্য সংলাপটুকু উচ্চারণ করে দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।
অভিনয়ের সামান্য জায়গাতেও কী অসামান্য শিল্প সৃষ্টি করা যায় পটলবাবু তা দেখিয়ে দেন। তিনি কোনোরকম পারিশ্রমিক না নিয়ে মনের খুশিতে চলে যান। আসলে তার মধ্যে ছিল অদ্ভুত এক শিল্পী মন। সেই শিল্পী মানুষটি অর্থ চাননি, চেয়েছিলেন নিজের স্বীকৃতি। পটলবাবু সেই স্বীকৃতি অর্জন করে নিয়েছিলেন তাঁর সামান্য সংলাপটুকুর নিখুঁত উচ্চারণে।
নামকরণের সার্থকতা
পটলবাবু জীবনযুদ্ধের একজন ক্ষতবিক্ষত সাধারণ মানুষ। তিনি হঠাৎ অভিনয়ের সুযোগ পান। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে অভিনয় করেন। তাই গল্পটির নাম ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ সঠিক।
সঠিক অর্থ অভিধাস
গলি-চট নির্মিত ঝুলি বা ব্যাগ। টেগোর্ক্স বার্থ ডে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সিন-দৃশ্য। পেমেন্ট পারিশ্রমিক। অনুমান-আন্দাজ। আশ্চর্য-অবাক। সন্ত্রীক-স্ত্রীর সহিত। হাঁক-ডাক। ফার্মেসি-ওষুধের দোকান। হদিশ-খোঁজ। অভাবনীয়-অপ্রত্যাশিত।
ছাঁটাই– বরখাস্ত। ঘণ্টাখানেক– প্রায় একঘণ্টা। খুড়তুতো– কাকা সম্বন্ধীয়। সন-বছর। আবছা-অস্পষ্ট। জিনি জিতে। গম্ভীরভাবে রেগে গিয়ে। স্ট্রিট-রাস্তা। আপাদমস্তক-পা ঘেরে মাথা পর্যন্ত। স্টুডিয়ো-প্রেক্ষাগৃহ। পেডেস্ট্রিয়ান-পথচারী। হাউস-বাড়ি। বিল্ডিং-বহুতল। ডার্ক-কালচে। ফরমাশ-নির্দেশ বেমালুম-যা বোঝা যায় না। শখ-ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অগ্রহ। শখের থিয়েটার-নিজেদের পছন্দ মতো থিয়েটারে অভিনয় করা। এখানে বাণিজ্যিক থিয়েটারের মতো সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার প্রয়োজন নেই। উনিশ শতকে উচ্চবিত্ত শিক্ষিত ব্যক্তিরা এমন শখের থিয়েটার তৈরি করেছিলেন। পার্বণ-উৎসব, লৌকিক উৎসব। হ্যান্ডবিল-প্রচারপত্র। ছাঁটাই-কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা। সাধ-ইচ্ছা। রোজগার-উপার্জন, আয়। ধান্দা- কাজকর্মের সন্ধানে যাওয়া। ঔদ্ধত্য-উদ্ধত আচারণ। মনিহারি-বাচ্চাদের খেলনা ও শৌখিন দ্রব্যাদি। দালাল-ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী। অজান্তে-না জেনে। আবছা-অস্পষ্ট। স্মরণশক্তি-মনের রাখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি। পুনঃপুন-বারবার। দোহারা-মাঝারি গঠন বিশিষ্ট। উবে গেল-বাতাসে মিলিয়ে যাওয়া। ইনসিওরেন্স-বিমা। গাণ্ডীব-অর্জুনের বিশ্বজয়ী ধনুক। স্বপক্ষ-নিজের পক্ষ। বৃকোদর ভীম। তোড়জোড়-প্রস্তুতি। আগন্তুক-নবাগত, অতিথি। পার্ট-কোনো একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়। ধা-চকিতে। রিহার্সাল- অনুশীলন। বাজিমাত- সবাইকে চমকে দেওয়া। পাংচুয়াল-সময়নিষ্ঠ। আলবত-অবশ্যই, নিশ্চয়। ভৰ-ইহলোক, পৃথিবী। গদা-মুগুর জাতীয় অস্ত্র। সঞ্চালন-চালনা। চানক্য- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের অর্থ মন্ত্রী। ইনি ‘অর্থশাস্ত্র’ নামে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। মহারণ-ভীষণ যুদ্ধ। নির্জন-জনহীন। হুংকার-গর্জন। পুনর্যৌবন-পুনরায় যৌবনপ্রাপ্তি। সাধে-ইচ্ছে করে। গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল-আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা। আড়াআড়ি-কোনাকুনি। ঠাহর-অনুমান। খদ্দর-সুতি বস্তু। নট এ সিঙ্গল ডে-একদিনের জন্যেও না। ওয়েট-অপেক্ষা। ছাউনি আচ্ছাদন, চাঁদোয়া। অপদস্থ অসম্মান করা। রানিং-গতিশীল। হনহনিয়ে দ্রুত পায়ে চলা। তরতরিয়ে-অত্যন্ত ব্যস্তভাবে। ডগা-অগ্রভাগ। লেট-দেরি। ক্লিয়ার পরিষ্কার। বায়োস্কোপ-চলচ্চিত্র। নার্ভাস ঘাবড়ে যাওয়া। স্টার্ট সাউন্ড-শব্দগ্রহণ শুরু করো। হুমড়ি-উপুড়। গুঞ্জন-মৃদু কলাহল। বেড়ে-চমৎকার। রংতামাশা-ঠাট্টা। রেগুলার- প্রতিদিন। দৃত্পাত-দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। কুণ্ডলী পাকিয়ে-দলা পাকিয়ে। অবশ-অসাড়। সংসর্গে সাহচর্যে। ফুটুনি-বড়াই করা। লেশমাত্র- বিন্দুমাত্র। তাচ্ছিল্য-অবজ্ঞা। খাদ-নিম্নস্বর। ভায়া-আদরের ডাক। সটকাবেন না-পালিয়ে যাবেন না। হিট-জনপ্রিয়। ঘুম-স্তম্ভিত। নির্বিবাদী-বিবাদহীন। ইম্পর্ট্যান্ট-গুরুত্বপূর্ণ। মণ-৪০ কেজি পরিমাণ ওজন। নিকুচি-দফারফা করা। ভড়ং-ভন্ডামি। কলিশন-ধাক্কা। রেডি-প্রস্তুত। তারিফ-প্রশংসা। ঠোকা-আঘাত করা। অকেজো অকর্মণ্য। কদর-খাতির। খালাশ-রেহাই। বিকৃত-বিকারপ্রাপ্ত। রোমাঞ্চ-রোমহর্ষক, শিহরণ। তীক্ষ্ণ-শাণিত। টাইমিং-সময়জ্ঞান। চোট-আঘাত। আচ্ছন্ন-আবৃত। কন্দর-মর্যাদা। নিখুঁত-খুঁতহীন।
১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো।
১১ পটলবাবু অভিনয়ের সময়ে সংলাপ হিসেবে বলেছিলেন (ওঃ/উঃ/আঃ) শব্দটি।
১.২ অভিনয়ের সময় পটলবাবুর হাতে ছিল (আনন্দবাজার পত্রিকা/যুগান্তর/স্টেটসম্যান)।
১.৩ অভিনয়ের সময় পটলবাবুর নাকের নীচে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল (ঝুপো দেওয়া/বাটারফ্লাই) গোঁফ।
১.৪ (বরেন দত্ত/বরেন মল্লিক/বরেন চৌধুরী)-র পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন পটলবাবু।
১.৫ করালীবাবুর বাড়িতে (কীর্তন/শ্যামাসংগীত/কথকতা) হয় (শনিবার বিকেলে/রবিবার সকালে/রবিবার বিকেলে)।
২. নীচের এলেমেলো ঘটনাগুলি গল্পের ঘটনাক্রম অনুযায়ী লেখো।
৩. গল্প থেকে এই যে অংশটি নীচে উদ্ধৃত করা হয়েছে, শুটিং-এর সেই ব্যস্ত পরিস্থিতিটি তোমার নিজের ভাষায় নতুন করে লেখো।
৪. নীচের শব্দগুলির অনুরূপ শব্দ পাঠ্যাংশটিতে পাবে। খুঁজে নিয়ে লেখো।
৫. নীচের শব্দগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার নতুন করে লেখো।
৫.১ বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা কতটা ইম্পর্ট্যান্ট?
৫.২ এই, দাদুকে ডায়ালোগ লিখে দে।
৫.৩ একজন অন্যমনস্ক, বদমেজাজি পেডেস্ট্রিয়ান…
৫.৪ তাহলে একটু ওদিকে সরে গিয়ে ওয়েট করুন।
৫.৫ আজ তো ট্যাগোরস বার্থ ডে।
৫.৬ সাইলেন্স! রোদ বেরিয়েছে।
৫.৭ থিয়েটার এর চেয়ে শতগুণে ভালো...
৫.৮ আপনি তো বেশ পাংচুয়াল দেখছি।
৬. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্য রচনা করো।
৭. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্য রচনা করো।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ আর পূরণবাচক শব্দগুলি খুঁজে বার করে লেখো।
৮.১ নিশিকান্ত ঘোষ মশাই নেপাল ভাজ্যি লেনে পটলবাবুর তিনখানা বাড়ি পরেই থাকেন।
৮.২ বছর ত্রিশেক বয়স, লম্বা দোহারা চেহারা।
৮.৩ বাহান্ন বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয় করার প্রস্তাব আসতে পারে এটা… অনুমান করা কঠিন বৈকি!
৮.৪ পটলবাবুর ন’বছরের সাধের চাকরিটি কপূরের মতো উবে গেল।
৮.৫ তারপর এই দশটা বছর… কী-না করেছেন পটলবাবু।
৮.৬ সেইটের সামনে ঠিক সাড়ে-আটটায় পৌঁছে যাবেন।
৮.৭….পটলবাবু দশ আনা বিরক্তির সঙ্গে তিন আনা বিস্ময় ও
তিন আনা যন্ত্রণা মিশিয়ে ‘আঃ’ শব্দটা উচ্চারণ করে… চলতে
আরম্ভ করলেন।
৯. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে পদান্তরিত করে লেখো। উত্তর: উৎকণ্ঠা-উৎকণ্ঠিত, প্রয়োগ-প্রয়োগযোগ্যতা, উচ্চারণ- উচ্চারিত, বিরক্তি-বিরক্ত, দন্ত-দাম্ভিক, ঔদ্ধত্য-ঔদ্ধত্যতা, অনুভব-অনুভাবিত, পরিবেশন-পরিবেশিত।
১০. নীচের শব্দগুলি দিয়ে নতুন বাক্য রচনা করো।
১১. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো।+
গভীর, বিকৃত, নির্জন, সার্থক, সংযত, নির্বিবাদী, তীব্র, উচিত
১২. নিম্ন রেখাঙ্কিত অংশের কারকবিভক্তি নির্ণয় করো।
১২.১ নরেশ ভিড় ঠেলে এসে বলল, আপনি এই ছায়াটায় দাঁড়ায় একটু।
১২.২ এবার পটলবাবু লোকটিতে দেখতে পেলেন।
১২.৩ নরেশ একভাঁড় চা নিয়ে পটলবাবুর দিকে এগিয়ে এলো।
১২.৪ শশাঙ্ক তার হাতের খাতা থেকে একটা সাদা পাতা ছিঁড়ে কলম দিয়ে তাতে কী জানি লিখে কাগজটা পটলবাবুকে দিল।
১৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১৩.১ পটলবাবুর কাছে যেদিন ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, সেদিন ছুটির দিন ছিল কেন?
১৩.২ বাজারে গিয়ে কেন গৃহিণীর ফরমাশ গুলিয়ে গেল পটলবাবুর। ।
১৩.৩ থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল?
১৩.৪ উনিশশো চৌত্রিশ সালে পটলবাবু কলকাতায় বসবাস করতে এলেন কেন?
১৩.৫ পাড়ায় থিয়েটারের দল গড়া আর হলো না কেন পটলবাবুর?
১৩.৬ পটলবাবু তাঁর সময়নিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য কোন্ উদাহরণ দিতে ভালোবাসতেন?
১৩.৭ “পটলবাবুর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল”-পটলবাবু এমন লজ্জা পেলেন কেন?*
১৩.৮ “গগন পাকড়াশি আজ তাঁকে দেখলে সত্যিই খুশি হতেন।”-তিনি খুশি হতেন কেন?
১৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও।
১৪.১ “আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল”- কার মনে পড়ে গেল পটলবাবুর কথা? পটলবাবুর কথাই বিশেষ করে তাঁর মনে পড়ল কেন?**
১৪.৩ কার উপদেশের স্মৃতি পটলবাবুর অভিনেতা-সত্তাকে জাগিয়ে তুলল? কোন্ ‘অমূল্য’ উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন পটলবাবুকে?
১৪.৪ “ধন্যি মশাই আপনার টাইমিং! বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়-ওঃ!”-বক্তা কে? কোন্ ঘটনার ফলে তাঁর এমন মন্তব্য?***
১৪.৫ “এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি”-এই অনুভব কীভাবে জাগল পটলবাবুর মনে?*
১৪.৬ পটলবাবুর ফিল্মে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রোডাকশন ম্যানেজার নরেশ দত্তের অনেকগুলি ব্যস্ত মুহূর্ত। টুকরো মুহূর্তগুলি জোড়া দিয়ে নরেশ দত্ত নামে মানুষটির সম্পূর্ণ ছবি নিজের ভাষায় তৈরি করো।***
১৫. দশটি বাক্যের মধ্যে উত্তর দাও।
১৫.১ ‘আঃ’-এই একটিমাত্র শব্দের উচ্চারণ কৌশলে আর অভিনয় দক্ষতায় একটা আস্ত অভিধান লিখে ফেলা যায়, শব্দটি নিয়ে ভাবতে এমনটাই মনে হয়েছিল অভিনেতা পটলবাবুর। পটলবাবুর ভাবনা-ধারা কি ঠিক বলে মনে হয় তোমার? ‘আঃ’ শব্দের উচ্চারণে কত ধরনের ভাবপ্রকাশ সম্ভব বলে তোমার মনে হয়?
১৫.২ “সে কী, টাকা না নিয়েই চলে গেল নাকি লোকটা। আচ্ছা ভোলা মন তো।”-তোমার কী মনে হয়, সফলভাবে কাজ করার পরেও কেন টাকা না নিয়েই চলে গিয়েছিলেন পটলবাবু। পটলবাবু চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি কি যথার্থ বলে মনে হয় তোমার? নিজের যুক্তি দিয়ে লেখো।
১৫.৩ কেমন করে শুটিং চলে, তার জীবন্ত কিছু টুকরো টুকরো ছবি উঠে এসেছে এই গল্পের আনাচে কানাচে। সেইসব টুকরো জুড়ে জুড়ে নিজের ভাষায় শুটিং-এর মুহূর্তগুলির একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরি করো।
১৫.৪ অভিনয়ের নানা ধরনের প্রসঙ্গ এই গল্পে ছড়িয়ে আছে। থিয়েটার আর সিনেমার অভিনয়ের ধরনের সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্যের কিছু কথা মনে এসেছিল পটলবাবুর। পটলবাবুর মতামত নিজের ভাষায় লিখে, এবিষয়ের তোমার কোনো মতামত থাকলে তাও জানাও।
১৫.৫ বছর পঞ্চাশের বেঁটেখাটো টাকমাথা নাট্যপ্রিয় পটলবাবুরে
তোমার কেমন লাগল নিজের ভাষায় লেখো।
সং যো জি ত প্র শ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১ পটলবাবু কে?
১.২ নিশিকান্তবাবু কে?।
১.৩ নরেশ দত্ত কে?
১.৪ পটলবাবু কোথায় থাকেন?
১.৫ নিশিকান্তবাবুর ছোটো শ্যালকের নাম কী?
১.৬ নরেশ দত্ত দেখতে কেমন?
১.৭ পটলবাবুর নাট্যগুরু কে ছিলেন?
১.৮ পটলবাবুর কথা অনুসারে পরিচালক তাঁকে কোন্ কাগজ
দিয়েছিলেন?
১.৯ সিনেমায় পটলবাবুর স্পিকিং পার্টটি কী ছিল?
১.১০ চঞ্চলকুমার কে ছিলেন?
১.১১ থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল?
১.১২ পটলবাবু কত বছর বয়সে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পান?
১.১৩ ‘আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল’-উক্তিটির বক্তা কে?
১.১৪ নিশিকান্ত ঘোষ কোথায় থাকেন?
১.১৫ ‘বেশ আমুদে লোক’-কাকে আমুদে লোক বলা হয়েছে?
১.১৬ ‘এই ধরনের একটা খবর পটলবাবু আশাই করেননি’- কোন্ খবরের কথা বলা হয়েছে?
১.১৭ ‘তুমি তো অভিনয়-টভিনয় করেছ এককালে’-কে কাকে একথা বলেছেন?
১.১৮ অভিনয়ের জন্য কোন্ পার্টটি পটলবাবুকে দেওয়া হয়েছিল?
১.১৯ পটলবাবু কখন কলকাতায় চলে আসেন?
১.২০ অভিনয়ের শুটিং কোথায় হয়েছিল?
১.২১ মেকাপের সময় পটলবাবুকে কেমন গোঁফ দেওয়া হয়েছিল?
১.২২ পটলবাবুর অভিনীত সিনেমার পরিচালক কে ছিলেন?
১.২৩ পটলবাবু একসময় কোথায় কোথায় অভিনয় করেছিলেন?
১.২৪ থিয়েটারে অসাধারণ অভিনয়ের জন্যে কে পটলবাবুর সঙ্গে
হ্যান্ডশেক করেছিলেন?
১.২৫ কে সত্তর বছর বয়সে চাণক্যের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন?
১.২৬ নরেশ দত্ত পটলবাবুকে শুটিং করার দিন কী বলে সম্বোধন করেছিলেন?
১.২৭ পটলবাবুর সংলাপটি কী ছিল?
১.২৮ পটলবাবুকে কে সংলাপ লিখে দিয়েছিলেন?
১.২৯ পরিচালকের কটি ছবি পরপর হিট করেছিল?
১.৩০ ‘এবার শট নেওয়া হবে’-বক্তা কে?
সংক্ষেপে উত্তর দাও:
২.১ “এটা তাঁর মতো নগণ্য লোকের পক্ষে অনুমান করা কঠিন”- ‘এটা’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? কী অনুমান করা কেন কঠিন বলে মনে হয়েছে?**
২.২ বাজার করতে গিয়ে পটলবাবু সব গুলিয়ে ফেললেন কেন?
২.৩ ‘এককালে পটলবাবুর রীতিমতো অভিনয়ের শখ ছিল’-পটলবাবু অভিনয়ের যে শখ তার পরিচয় দাও।
২.৪ পটলবাবুর থিয়েটার দল গড়ার স্বপ্ন সফল হয়নি কেন?
২.৫ “কী-না করেছেন পটলবাবু”-পটলবাবুর কাজকর্মের পরিচয় দাও।
২.৬ “কিন্তু পার্টটা কী বললেন না?”- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই বক্তব্য প্রকাশ করেছেন? তাঁর পার্ট কী ছিল?
২.৭ ‘পটলবাবুর ধাঁ করে জরুরি প্রশ্ন মাথায় এসে গেল’-প্রশ্নটি কী ছিল?
২.৮ ‘যা বুঝছি-বুঝলে গিন্নি’-বক্তা কে? তিনি কী বুঝেছিলেন?**
২.৯ “এদের যে কী কাজ সেটা ঠাহর করতে পারলেন না”-বক্তা কে? তিনি কী ‘ঠাহর’ করতে পারছিলেন না?
২.১০ ‘থিয়েটারেও ওই নামে জানত’-এখানে কোন্ নামটির কথা বলা হয়েছে? এই প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ কী?
২.১১ “ঋষিতুল্য মানুষ আর শিল্পীর সেরা শিল্পী”-কে, কার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন? তাঁকে স্মরণ করার কারণ কী?
ব্যা ক র ণে র স হ জ পা ঠ
১. সমার্থক শব্দ লেখো:
মাথা, হাত, চাদর, পা, চোখ, বেঁটে, নুন, আগে, ডগা, ভব,পার্বণ, গিন্নি।
২. বিপরীত শব্দ লিখে বাক্য রচনা করো: প্রশংসা, নিষ্ঠুর, অভাব, ভাগ্যবান, নিয়মিত, অপমান, সংযত, সাফল্য, নিরুৎসাহ, ধৈর্য, তীব্র, সহ্য, মৃত, ক্ষতি, স্মৃতি।
৩. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:
৩.১ পটলবাবু থলে নিয়ে বেরিয়ে এসে বললেন।
৩.২ সে ফিল্মে কাজ করে।
৩.৩ পটলবাবু বায়োস্কোপ খুবই কম দেখেন।
৩.৪ একটা খবর পটলবাবু আশাই করেননি।
৩.৫ তাঁর নামে টিকিট বিক্রি হয়েছে বেশি।
৩.৬ তিনি থাকতেন কাঁচরাপাড়ায়।
৩.৭ থামের কাছটা থেকে এদিকে হেটে আসতে শুরু করবেন।