Class 7 Sahityamela
একুশের তাৎপর্য
7
অধ্যায় ৭
একুশের তাৎপর্য
• কবি পরিচিতি
সমাজ ও সমকাল সচেতন প্রাবন্ধিক ও কথাশিল্পী আবুল ফজল ১৯০৩ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বেশ কিছু উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক লিখেছেন তিনি। ‘রেখাচিত্র’ গ্রন্থের জন্য ‘আদমজি পুরস্কার’ লাভ করেন। সম্পাদনা করেছেন ‘শিখা’ পত্রিকা। ‘একুশের তাৎপর্য’ পাঠ্যাংশটি তাঁর ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে এই প্রতিভাধর কথাশিল্পী তিরোধান করেন।
• বিষয়বস্তু
ভাষাই মানুষকে মানুষ করেছে। ভাষা ছাড়া মানুষ ভাবতে পারে না, কল্পনা করতে পারে না। চিন্তা করতে পারে না এমনকি মনের ভাবও প্রকাশ করতে পারে না। সমগ্র মানবজাতি তথা দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটে ভাষাকে অবলম্বন করে। সেই কারণে মাতৃভাষার অস্তিত্ব ও সম্মান রক্ষার দাবী জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ হয়েছিলেন কয়েকজন। তাঁরা প্রাণ দিয়ে মাতৃভাষা বাংলাকে যেমন বাঁচিয়েছেন, তেমনি আমাদেরও বাঁচার পথ করে দিয়েছেন। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার এমন ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি তাই একুশের শহিদরা আমাদের গর্ব। সেই দিনটিকে আমরা প্রতিবছর স্মরণ করি। একুশে ফেব্রুয়ারিকে সার্থককরতে হলে এই দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে সব সময়।
নামকরণের সার্থকতা
‘একুশের তাৎপর্য’ রচনাটিতে লেখক মানবজীবনে ভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে সুন্দর আলোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে মাতৃভাষার মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের কথাও সম্মানপূর্বক স্মরণ করেছেন। একুশের সেই স্মৃতি আমাদের প্রতিদিন এই কথা স্মরণ করায় যে, মাতৃভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। রচনাটির মূল বিষয় একুশের শহিদের প্রতি সম্মান জানানো; যাতে সম্মান জানানো হবে মাতৃভাষাকেই। সেইখানেই ‘একুশের তাৎপর্য’। তাই রচনাটির নামকরণও সার্থক।
• সঠিক অর্থবিধান
তাৎপর্য-গুরুত্ব। অক্ষম-ব্যর্থ, সক্ষম নয়। অবলম্বন-আশ্রয়। সর্বাঙ্গীন সম্পূর্ণ। ইজ্জত-সম্মান। আপস-মিটমাট। শহিদ- ন্যায়সঙ্গত অধিকার লাভের জন্য আত্মোৎসর্গকারী ব্যক্তি। চিরস্মরণীয়-চিরকাল স্মরণ করা হয় যা। দৃষ্টান্ত-উদাহরণ। অশ্রুসিক্ত-চোখের জলে ভেজা।
সংযোজিত প্রশ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১. মানুষকে মানুষ করে তোলে কে?
উত্তর:
২. ভাষা ছাড়া মানুষ কী কী করতে পারে না?
উত্তর:
৩. জাতীয় সত্তা কাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে?
উত্তর:
৪. কীসের বিনিময়ে মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হয়?
উত্তর:
৫. কারা আমাদের গর্ব?
উত্তর:
৬. একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিতে কারা শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর:
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
________________________________________________________________
১. “এসব প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে”- কোন্ প্রশ্নের উত্তর কোথায় নিহিত রয়েছে?***
________________________________________________________________
উত্তর:
২. “তাঁরা ও তাঁদের স্মৃতি চিরস্মরণীয়”-কাদের কথা বলা হয়েছে? তাঁদের স্মৃতি চিরস্মরণীয় কেন?***
উত্তর:
৩. “এমন অনন্য দৃষ্টান্ত পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই।”- কোন্ দৃষ্টান্তের কথা বলা হয়েছে? সেই দৃষ্টান্ত ‘অনন্য’ কেন?***
উত্তর:
৪. “ভাষা ছাড়া জাতিও জাত হয়ে উঠতে পারে না।”- ‘জাতি’ ও
‘জাত’ সম্পর্কে এ কথা বলার কারণ কী?***
উত্তর:
৫. “মাতৃভাষার ইজ্জত আর অস্তিত্ব নিয়ে কোনো আপস চলে না।”-এই উক্তির তাৎপর্য লেখো।***
উত্তর:
৬. “মাতৃভাষার দাবি স্বভাবের দাবি, মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকা দাবি”-বক্তব্যটির মূল বিষয় বুঝিয়ে দাও।**
উত্তর:
৭. একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি কেন পালন করা হয়?
উত্তর:
৮. “ব্যক্তির ব্যক্তি হয়ে উঠতেই চাই ভাষা।” -এই কথার মমার্থ বিচার করো।
উত্তর:
৯. “মানুষ একই সঙ্গে প্রকাশ আর বিকাশধর্মী জীব”-একথা বলার কারণ কী?***
উত্তর :
১০. “মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকার দাবি”- কোন্ দাবিকে কেন বেঁচে থাকার দাবি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।***
উত্তর:
ব্যা ক র ণে র স হ জ পা ঠ
১. নিম্নলিখিত বিশেষ্য পদগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণ পদগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো:
কেন্দ্র, সার্থক, সংস্কৃতি, জাত, সর্বাঙ্গীন, স্মরণীয়, সিক্ত, সচেতন।
উত্তর:
২. নিম্নলিখিত শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো এবং সেই শব্দগুলি নিয়ে এক-একটি বাক্য রচনা করো: মানুষ, বাঁচা, গৌরব, সচেতন, স্মরণ, অক্ষম।
উত্তর: :
৩. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো। ৩.১ ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে।
উত্তর:
৩.২ মানুষ একই সঙ্গে প্রকাশ আর বিকাশধর্মী জীব।
উত্তর:
উত্তর:
৩.৪ আমাদের সচেতন থাকতে হবে বছরের শুধু একদিন নয় সারা বছর ধরেই।
উত্তর :
৪. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: প্রশ্ন, মানুষ, অপরিহার্য, আপস, স্মৃতি, গৌরব, সক্ষম, স্মরণ।
উত্তর :