Chapter 7
Class 7 Sahityamela
ভানুসিংহের পত্রাবলি
অধ্যায় ২৪
ভানুসিংহের পত্রাবলি
কবি পরিচিতি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭মে (বাংলা ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা সারদা দেবী। প্রথাবদ্ধ শিক্ষাপদ্ধতিতে বালক রবীন্দ্রনাথের বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। তাই বারবার বিদ্যালয় পরিবর্তন করেন এবং শেষপর্যন্ত বাড়িতে গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নানা বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। ঠাকুর পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে বেড়ে ওঠায় পুথিগত জ্ঞানের বাইরে সাহিত্য, শিল্প ও সংগীতচর্চায় তিনি নিজেকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের সমস্ত শাখাতেই তিনি তাঁর প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন। ‘কথা ও কাহিনী’, ‘সহজপাঠ’, ‘ছেলেবেলা’, ‘শিশু’, ‘শিশু ভোলানাথ’, ‘চিরকুমার সভা’, ‘হাস্যকৌতুক’, ‘ব্যঙ্গকৌতুক’, ‘ডাকঘর’, ‘গল্পগুচ্ছ’ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ ‘Song offerings’-এর জন্য প্রথম এশিয়াবাসী হিসেবে তিনি নোবেল পান।
রচনা উৎস
পাঠ্যাংশে সংকলিত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পত্র-সংকলন গ্রন্থ ‘ভানুসিংহের পত্রাবলি’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু
১. কৃত্রিমতায় ভরা কলকাতার পরিবেশ লেখকের একেবারেই পছন্দ নয়। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ শান্তিনিকেতনের পরিবেশ লেখককে আকর্ষণ করে। পরিবেশের গুণে লেখকের মনের মধ্যে সংগীতের উন্মেষ ঘটে। কিন্তু কলকাতার ইট-কাঠ-পাথরের মধ্যে কোথাও লেখক সবুজের ছোঁয়া পান না। বর্ষামঙ্গল গান যেহেতু শান্তিনিকেতনে এর জন্ম তাই কলকাতায় এই গান জমবে না বলে লেখকের মনে হয়েছে। লেখকের গাওয়া নতুন গান, যেন এখানে ঠিক জমে না। শান্তিনিকেতনে থাকলে কেমন হত তা কবি অনুভব করতে পারছেন। দিনুবাবু কলকাতায় এসেছিলেন কিন্তু তার ভালো না লাগায় তিনি আজই ফিরে আসবেন বলে স্থির করেছেন।
তারিখ-২৯ শে আষাঢ়, ১৩২৯।
২. আত্রাই নদীর উপর বোটে করে ভেসে চলেছেন কবি। এই নদীর দুপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ কবিকে আকৃষ্ট করে। কবি দু-চোখ ভরে এই প্রকৃতির সৌন্দর্য দর্শন করেন। কবির গান লিখতে ইচ্ছা করে কিন্তু বাইরের প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে তিনি এতটাই ব্যস্ত যে তাঁর গানের খাতায় চোখ রাখার সময় হয় না। প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখতে দেখতে কবি যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরক্ষণেই কবির কষ্ট হয় কারণ আজ রাত্রেই কবিকে আবার কলকাতায় ফিরতে হবে। চিঠির তারিখ- ২রা শ্রাবণ, ১৩২৯।
সঠিক অর্থ অভিধান
করিনে-করি না। লেপা-আচ্ছন্ন। করুণ-দুঃখময়। পুলক- আনন্দ। কইতে-বলতে। নৃত্য-নাচ। উত্তরীয়-চাদর। বর্ষামঙ্গল- বর্ষাকালে গাওয়ার একধরনের গান। এসরাজ-বাদ্যযন্ত্র বিশেষ। বোেট-বড়ো নৌকাবিশেষ। পাল—নৌকার উপরে টাঙানো কাপড়। শৈবাল-শ্যাওলা। খরতর-তীব্র। আঙিনা-উঠোন। নিবিড়- ঘন। আচ্ছন্ন-ঢাকা। ক্ষেত-জমি। ঘনিমা-ঘন হয়ে আসা। নিভৃত-নির্জন, নিরালা। সায়াহ্ন-সন্ধ্যাবেলা, ম্লান-মলিন, বিবর্ণ।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১ বর্ষামঙ্গল (আষাঢ়/অগ্রহায়ণ/শ্রাবণ) মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর:
১.২ শান্তিনিকেতন (বীরভূম/বাঁকুড়া/পুরুলিয়া) জেলায় অবস্থিত।
উত্তর:
১.৩ কবি (আত্রাই/পদ্মা/শিলাবতী) নদীর ওপর বোটে করে ভেসে চলেছেন।
উত্তর:
১.৪ পৃথিবীর মনের কথাটি কবি শুনতে পান (জলের ওপর/ নদীর ওপর/মাটির ওপর)।
উত্তর:
১.৫ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি পত্রসাহিত্যের উদাহরণ হল (শেষের কবিতা/গীতাঞ্জলি/ছিন্নপত্র)।
উত্তর:
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও
২.১ ‘কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে’- কবির এই অপছন্দের কারণ কী?
উত্তর:
২.২ “সে গান কি কলকাতা শহরের হাটে জমবে”- কোন্ গানের কথা বলা হয়েছে? সে গান কলকাতা শহরের হাটে জমবে না-কবির এমন ভাবনা কেন? ***
উত্তর:
২.৩ “তোমাদের ওখানে এতদিন বোধহয় বর্ষা নেমেছে।” -কার উদ্দেশ্যে কবি একথা লিখেছেন? ‘ওখানে’ বলতে কোন্ জায়গার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:
২.৪ ‘শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে….’ তখন কবির মনে কেমন অনুভূতি হয়?
উত্তর:
২.৫ “আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেচে-” ‘আজ’ বলতে যে দিনটির কথা বলা হয়েছে তার সাল ও তারিখ কত? ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোথায় পালাবে এবং কেন?***
উত্তর:
২.৬ “সমস্তটার উপর বাদল-সায়াহ্ণের ছায়া”-কবির চোখ দিয়ে দেখা এই ‘সমস্তটা’র বর্ণনা দাও।**
উত্তর:
২.৭ ‘কলকাতায় না এলে আরো জমত’-কী জমত? কবির কলকাতায় আসার সঙ্গে তা না জমে ওঠার সম্পর্ক কী?**
উত্তর:
২.৮ “খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়” -কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে? খাতার দিকে চোখ রাখবার সময় কবির নেই কেন?***
উত্তর:
৩. দু-চার কথায় পরিচয় দাও:
উত্তর:
৪. একটি বর্ষণমুখর দিনের অভিজ্ঞতা বিষয়ে একটি ছোটো অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর:
৫. অর্থ লেখো:
উত্তর:
৬. কারকবিভক্তি নির্ণয় করো:
৬.১ কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে।
উত্তর:
৬.২ তার উপরে আবার আকাশ মেঘে লেপা।
উত্তর:
৬.৪ কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
উত্তর:
৬.৫ সে গান কি কলকাতা শহরের হাটে জমবে।
উত্তর:
৭. বাক্য রচনা করো।
ত্তর:
হাট-
বাদল-
বৃষ্টিধারা-
৮. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও:
উত্তর:
৯. বর্ষার কলকাতা শহরকে কবির বিশেষভাবে অপছন্দ করার কারণ কী?
উত্তর:
১০. নববর্ষা বলতে কী বোঝো?
ন উত্তর: ‘
১১. বর্ষা ঋতুকে নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের দুটি গান ও দুটি কবিতার নাম লেখো।
উত্তর:
১২. সবুজ রঙের উত্তরীয় বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর:
১৩. “কলকাতা শহরে হাটে…” শহরকে হাটের সঙ্গে তুলনায় ব্যঞ্জনাটি কোথায়?
উত্তর:
১৪. আষাঢ় মাসের বর্ষাকে কলকাতা শহরে মানায় না- কবির
এ জাতীয় মন্তব্যের অর্থ কী?
উত্তর:
১৫. আত্রাই নদীটি কোথায়? সেই নদীতে বোটে যেতে যেতে কবি কবে নির্বাচিত পত্রটি লিখেছিলেন?
উত্তর:
১৬. নদীপাড়ের গ্রামগুলির ছবি কীভাবে কবির চোখে ধরা পড়েছে?
উত্তর:
১৭. আকাশ আর নদীর প্রতি ভালোবাসা, সর্বোপরি বর্ষা প্রকৃতির প্রতি কবির পক্ষপাত কীভাবে পত্রদুটিতে প্রতিফলিত হয়েছে?
উত্তর:
১৮. ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করো:
১৮.১ কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
উত্তর:
১৮.২ অনুরোধে পড়ে কখনও কখনও আমার নতুন বর্ষার গান গাইতে হয়েছে।
উত্তর:
১৮.৩ আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেছে।
উত্তর:
১৮.৪ আত্রাই নামক একটি নদীর উপর বোটে ভেসে চলেছি।
উত্তর
১৮.৫ অনেকদিন বোলপুরের শুকনো ডাঙায় কাটিয়ে এসেছি।
উত্তর:
১৯. নীচের বাক্যগুলিকে দুটি বাক্যে আলাদা করে লেখো।
১৯.১ কথা হচ্ছে এবার শ্রাবণ মাসে আর বছরের মতো কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে।
উত্তর:
১৯.২ শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে তখন তার ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে।
উত্তর:
১৯.৩ আমার এই বোট ছাড়া নদীতে আর নৌকা নেই।
উত্তর:
১৯.৪ আমার দুই চক্ষু এখন বাইরের দিকে চেয়ে থাকতে চায়, খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়।
উত্তর:
১৯.৫ আজ রাত্রের গাড়িতেই কলকাতায় যাব মনে করে ভালো লাগছে না।
উত্তর:
সংযোজিত প্রশ্ন
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ কলকাতা শহর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মনোভাব কেমন
ছিল?
উত্তর:
১.২ কোন্ জায়গার বৃষ্টি রবীন্দ্রনাথের খুব পছন্দ ছিল?
উত্তর
১.৩ কলকাতায় যে বৃষ্টি হত তা কেমন?
উত্তর:
১.৪ কবি কোন্ নদীর উপর ভেসে চলতেন?
উত্তর:
১.৫ “কিন্তু হয়তো হয়ে উঠবে না”- কী হয়ে উঠবে না বলে
লেখক জানিয়েছেন?
উত্তর:
১.৬ “বোটে করে ভেসে চলেছি”-কে কোথায় বোটে করে ভেসে চলেছেন?
উত্তর:
১.৭ কার প্রতি রবীন্দ্রনাথের গভীর ভালোবাসা ছিল?
উত্তর:
১.৮ কোথায় কবি অনেকদিন অতিবাহিত করেছেন?
উত্তর:
১.৯ কোথায় ফিরে আসার চিন্তায় রবীন্দ্রনাথের মন খারাপ হয়েছিল?
উত্তর:
১.১০ “আজ সকালেই সে পালাবে”- কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১ “কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে”-বক্তা কে? কলকাতা শহর তাঁর পছন্দ না হওয়ার কারণ কী?***
উত্তর:
২.২ “আমার মনের মধ্যে গান জেগে ওঠে”-বক্তা কে? কখন তাঁর মনের মধ্যে গান জেগে উঠত? **
উত্তর:
২.৩ “আর এখানে নববর্ষা”- এখানে বলতে কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে? সেখানে বর্ষাপ্রকৃতি কেমন ছিল?**
উত্তর:
২.৪ “সেই গানের সুর ঠিকমতো বাজে না”-কার কোন্ গানের সুরের কথা বলা হয়েছে? সেই ‘গানের সুর’ ঠিকমতো না বাজার কারণ কী?
উত্তর:
২.৫ “আজ সকালেই সে পালাবে”- সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর পরিচয় দাও।
উত্তর: ‘
২.৬ “কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে”- ‘বর্ষামঙ্গল’ গান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর:
২.৭ “পৃথিবীর যেন মনের কথাটি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে”-কোন্ প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? এই বক্তব্যের তাৎপর্য উল্লেখ করো।
উত্তর:
ব্যাকরণের সহজপাঠ
১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: পছন্দ, জল, মস্ত, নতুন, রাত্তির, জমা, ভালো লাগা, করুণ, শুকনো।
উত্তর:
২. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো:
২.১ আষাঢ় মাসের বর্ষাকে এ শহরে যেমন মানায় না, দিনুবাবুকেও তেমনি। (সরল বাক্যে)
উত্তর:
২.২ আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেচে। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:
২.৩ আজ রাত্রের গাড়িতেই কলকাতায় যাব মনে করে ভালো লাগচে না। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:
২.৪ কলকাতায় না এলে আরও জমত। (জটিলবাক্য)
উত্তর:
ব্যাকরণের সহজপাঠ
১. সন্ধি-বিচ্ছেদ করো: রবীন্দ্র, সূর্যাস্ত, বৃষ্টি, পর্যন্ত, ব্যস্ত, আচ্ছন্ন, কিন্তু।
উত্তর:
২. নীচের শব্দদ্বৈতগুলি বাক্যে প্রয়োগ করো: কিছু কিছু, ফুলে ফুলে, দলে দলে, স্তরে স্তরে, রঙে রঙে কূলে কূলে, মাঝে মাঝে।
উত্তর:
৩. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো:
৩.১ রাত্রি থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়চে। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:
৩.২ গাছগুলি যেন কথা কইতে চায়। (জটিল বাক্যে)
উত্তর:
৩.৩ কলকাতায় বর্ষামঙ্গল গান হবে। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর
৩.৪ বৃষ্টি নেমে এল। (নেতিবাচক বাক্যে)
উত্তর:
৩.৫ আপনার সাড়া পায় না। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
উত্তর:
৪. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:
৪.১ আমার মনের মধ্যে গান জেগে ওঠে।
উত্তর:
৪.২ রাত্তির থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে।
উত্তর:
৪.৩. মস্ত জন্তু আমাকে একেবারে গিলে ফেলেচে।
উত্তর:
৪.৪ নদী আমি ভারি ভালোবাসি।
উত্তর:
৪.৫ বোটে করে ভেসে চলেছি।
উত্তর:
৪.৬ কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে।
উত্তর:
৫. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
পল্লি, নতুন, পছন্দ, খোলা, শুকনো, সূর্যাস্ত, প্রতিধ্বনি, ম্লান, টিপটিপ
উত্তর
৬. পদান্তর করো :
গাছ, মাঠ, সুর, চক্ষু, জন্তু, ঝোড়
উত্তর