Class 7 Sahityamela
দিন ফুরোলে
অধ্যায় ২৯
দিন ফুরালো
কবি পরিচিতি
শঙ্খ ঘোষ বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’। এছাড়া তিনি লিখেছেন ‘নিহিত পাতাল ছায়া’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ছোটোদের জন্য অনেক লেখা লিখেছেন- ‘ছোট্ট একটা স্কুল’, ‘অল্পবয়স কল্পবয়স’, ‘শব্দ’ নিয়ে খেলা’ ইত্যাদি তার প্রবন্ধের বইগুলি হল- ‘কালের মাত্রা ও রবীন্দ্র নাটক’, ‘ছন্দোময় জীবন’ ইত্যাদি।
বিষয়বস্তু
সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পাখির দল ঘরে ফিরছে। বাচ্চারা তাদের মায়ের কাছে ফিরে আসছে। চারিদিকে অন্ধকার নেমেছে। তাই কবিতাটির নাম
‘দিন ফুরালো’ একেবারে সঠিক। সূর্য ডুবে সন্ধে নেমেছে। আকাশের চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। আকাশে তারারা জ্বলে উঠেছে। পাখিরা নিজের বাসায় ফিরছে। বাচ্চারা তাদের মন খারাপের জায়গা বাড়িতে ফিরে আসছে। বাবা বলছে এইটুকু ছেলে সন্ধেবেলাতেও মাঠ ছাড়ে না। মা বলছে পা দুটো বিশ্রী হয়ে গেছে। একগঙ্গা জল দিয়ে তাই পা পরিষ্কার করতে হচ্ছে।
সঠিক অর্থ অভিধান
মোচ্ছা-মূর্ছ; দুচ্ছাই-দুরছাই, ঠ্যাং-পা, কুচ্ছিৎ-কুৎসিত, বিশ্রী, ধুচ্ছি-ধোওয়া।
১. কবিতাটিতে ‘চ্ছ’ দিয়ে কতগুলি শব্দ আছে লেখো, প্রত্যেকটি শব্দ ব্যবহার করে একটি করে আলাদা বাক্য লেখো:
ইচ্ছে, বাচ্ছা, আচ্ছা, কুচ্ছিৎ, ধুচ্ছি
২. নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো:
সূর্য >
> দুচ্ছাই
মুচ্ছা >
> আঁধার
কুৎসিত >
> সন্ধে।
৩. ‘লক্ষ’ শব্দটিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি পৃথক বাক্য লেখো। ‘লক্ষ’ শব্দটির সঙ্গে এই দুটি অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে আরও একটি নতুন বাক্য লেখো।
৪. ‘এক গঙ্গা জল’-শব্দবন্ধটির মানে ‘গঙ্গায় যত জল ধরে সব’ অর্থাৎ কিনা অনেকখানি জল। নীচের স্তম্ভদুটির ডানদিক ও বামদিক ঠিকভাবে মেলাতে পারলে আরও কিছু এরকম শব্দবন্ধ তৈরি করতে পারবে।
এক মাথা–হাসি
এক ক্লাস–আম
এক আকাশ–ধুলো
এক ঘর–ধান
এক কাঁড়ি–পায়েস
এক ঝুড়ি–ছাত্র
এক হাঁড়ি–তারা
এক মুঠো–টাকা
এক মুখ–লোক
এক কাহন–চিনি
৫. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ নিয়ে বাক্য
রচনা করো:
৬. নীচের শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে বের করো।
৭. নীচের শব্দগুলির বিপরীত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নাও।
৮. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
৮.১ চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।
৮.২ বাপ মায়েরা যাবেই তবে মুচ্ছো।
৮.৩ কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স।
৮.৪ নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে।
৮.৫ এক গঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুচ্ছি।
৯. এককথায় উত্তর দাও:
৯.১ সুয্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা ‘দুচ্ছাই’ বলছে কেন?
৯.২ কে এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন?
৯.৩ কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না?
৯.৪ কথকরা কেন বলেছে, ‘কেই বা খুলে দেখছে রঙের
বাক্স!’? ***
৯.৫ বাপ-মায়েরা কী হলে মুচ্ছো যাবেন?
৯.৬ পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যাচ্ছে?
৯.৭ কথকরা কেন বলেছে তাদের নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে ফিরতে হবে?
৯.৮ বাবা কী বলবেন?
৯.৯ মা-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন?
৯.১০ কথকরা কেন ‘এক গঙ্গা জল’ দিয়ে পা ধুচ্ছে?***
১০. ব্যাখ্যা করো:
১০.১ “সূয্যি নাকি… ডুব দিয়েছে?”***
১০.২ “আকাশ জুড়ে… লক্ষ রঙের দৃশ্য।”
১০.৩ “লক্ষ, বা তা হতেও পারে… রঙের বাক্স!”
১০.৪ “আমরা কি আর… যাবেই তবে মুচ্ছে।”
১১. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও:
১১.১ কবিতাটি অবলম্বনে তোমার দেখা একটি গোধূলির রূপ বর্ণনা করো।
১১.২ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে ‘মনখারাপের গর্তে’ ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে? খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো?***
সংযোজিত প্রশ্ন
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১ ‘দিন ফুরালো’ কবিতায় ছেলেদের আক্ষেপের কারণ কী?
১.২ আকাশ জুড়ে কে কী করেছিলেন?
১.৩ রঙের বাক্সে কতরকমের রং আছে?
১.৪ বাপ মায়েরা ‘মুচ্ছো’ যাবেন কেন?
১.৫ শিশুটি কীভাবে পা ধুয়েছিল?
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও: ২.১ “চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।”-কে কীভাবে ‘লক্ষ রঙের দৃশ্যে’ চমকে দেবেন?
২.৩ “দিন ফুরালেও মাঠ ছাড়ে না? আচ্ছা!”- কোন্ কবির কোন্ কবিতা থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে? এই উক্তির কারণ বিশ্লেষণ করো। ‘আচ্ছা’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?
১. বিপরীত শব্দ লিখে বাক্য রচনা করো: ঈশ্বর, আকাশ, দৃশ্য, রঙ, বাপ, গুচ্ছ, বাচ্চা, দিন।
২. পদ পরিবর্তন করো: সূর্য, ডুব, আকাশ, রং, ঈশ্বর, দিন, মাঠ, জল।
৩. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:
৩.১ সূয্যি নাকি সত্যি নিজের ইচ্ছেয়।
৩.২ ডুব দিয়েছে? সন্ধে হলো?
৩.৩ আকাশ জুড়ে এক্ষুণি এক ঈশ্বর।
৩.৪ চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।
৩.৫ আমরা কি আর দেখতে পাব ভাবছ?
৩.৬ আঁধার ফেলে ঘরের দিকে উড়ছে।