Class 7 Sahityamela
খোকনের প্রথম ছবি বনফুল
অধ্যায় ১১
খোকনের প্রথম ছবি বনফুল
• লেখক পরিচিতি
সাহিত্যিক বনফুলের প্রকৃত নাম হলো বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। ১৮৯৯ খ্রি. বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় এবং মাতা মৃণালিনী দেবী। সাহেবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯১৫ খ্রি. তাঁর প্রথম কবিতা ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর ‘বনফুল’ ছদ্মনামে ‘প্রবাসী’ ও ‘ভারতী’ পত্রিকায় লেখা শুরু করেন। ১৯২৭ খ্রি. পাটনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। ৬০টির মতো উপন্যাস, অসংখ্য ছোটোগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও নাটক লিখেছেন। তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘তৃণখণ্ড’। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো-
১. ছোটোগল্প সংকলন: ‘বাহুল্য’, ‘বনফুলের ছোটোগল্প’, ‘বিন্দুবিসর্গ’, ‘অদৃশ্য লোক’, ‘তন্বী’ প্রভৃতি। ২. উপন্যাস: ‘বৈতরণীর তীরে’, ‘দ্বৈরথ’, ‘মৃগয়া’, ‘হাটে-বাজারে’,
‘পীতাম্বরের পুনর্জন্ম’, ‘আশাবরী’ প্রভৃতি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জগত্তারিণী’ পদক এবং ভাগলপুর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডি. লিট’ উপাধি লাভ করেন। ৯ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ খ্রি. এই মহান সাহিত্যিক পরলোকগমন করেন।
• বিষয়বস্তু.
খোকনের ইচ্ছা ছবি আঁকার। কিন্তু একা একা সে সফল হয় না। তার ড্রইং-এর মাস্টারমশায় তাকে উৎসাহিত করে। সে ধীরে ধীরে আঁকতে শেখে। কিন্তু সেই ছবি তার নিজেরই পছন্দ হয় না। সে সূর্য, গোলাপ ফুল ইত্যাদি ছবি আঁকতে চেষ্টা করে। কিন্তু নিজের দৃষ্টিতে সে নিজেকে ব্যর্থ বলে মনে করে। মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে সে নিজেকে ‘বেকুব’ সাব্যস্ত করে।
একদিন লক্ষ্ণৌ থেকে তার বাবার বন্ধু, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী তাদের বাড়িতে আসেন। তিনি খোকনকে তার মন থেকে ছবি আঁকতে বলেন। খোকন চেষ্টা করতে থাকে এবং একদিন সফল হয়।
• নামকরণের সার্থকতা
ছবি আঁকতে ভালোবাসে খোকন। ড্রয়িং মাস্টারমশাইয়ের পরামর্শে প্রকৃতি থেকে ইচ্ছেমতো ছবি তুলে আনে ড্রয়িং খাতায়। সেই ছবি আসলে এক অর্থে প্রকৃতির হুবহু নকল করা। খোকনের বাড়িতে আসেন খোকনের বাবার এক বন্ধু। তিনি চিত্রকর। তিনি জানান সম্পূর্ণ নিজের কল্পনার উপরনির্ভর করে ছবি আঁকুক খোকন। এর পর সে অন্ধকারের ছবি আঁকে। সেই অন্ধকারের মধ্যে থেকে ফুটে ওঠে তার মুখ। তৈরি হয় খোকনের
ক্ষমতায় দাঁড়িয়ে থাকে, তারই নাম মিনার। মজজিদ, সমাধি কিংবা অন্য কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে যে মিনার কখনও থাকে, কখনও থাকে না তার নাম হলো মিনারিকা। এই মিনারিকা কখনও কুতুবমিনারের সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। এমন অপূর্ব সৃষ্টি কেন পৃথিবীর মধ্যে অনন্য, তার ব্যাখ্যা এমনভাবে উঠে এসেছে, যার মধ্যে দিয়ে নামকরণের মাহাত্ম্য যথাযথ ধরা পড়েছে।
সঠিক অর্থবিধান
মিনার-গম্বুজাকৃতি স্তম্ভ। এক্সপেরিমেন্ট- পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সিক্রি-এখানে ফতেহপুর সিক্রি। স্থপতি-সৌধ, প্রাসাদ, ইমারত প্রভৃতি তৈরির কাজে নিযুক্ত। গুলদন্তাজ-মিনারেট জাতীয় ছোটো চূড়া বা শীর্ষদেশ। থাম-স্তম্ভ। আর্চ-খিলান, ইটের অর্ধবৃত্তাকার গাঁথুনি, যার উপর ছাদের ভার রাখা যায়। ছত্রি-চাল বা ছাদ। মিনারেট-মিনারের চেয়ে ছোটো চূড়া। ছজ্জা-বৃষ্টির ছাট ঠেকানোর জন্য দরজা বা জানলার উপরস্থিত ছাদের প্রলম্বিত অংশ। ব্র্যাকেট-প্রধানত দেয়ালের গায়ে আটকানো তাকের প্রলম্বিত আলম্ব বা দেয়ালগিরি। প্রপর্শন-সঙ্গতি। অপটিমা সাইজ- সামঞ্জস্যপূর্ণ আকার। ডোম-গোলাকার গম্বুজ। জিওমেট্রিক ডিজাইন-জ্যামিতিক বিন্যাস। দার্ঘ্য-দৃঢ়তা। ইমারত- অট্টালিকা, প্রাসাদ।
হা তে ক ল মে
১. অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১ কোন্ সম্রাট ‘অশোকস্তম্ভ’কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন?
উত্তর:
১.২ কুতুবমিনার নামটি কার নামানুসারে রাখা হয়েছে এবং কেন? উত্তর: কুতুবমিনার নামটি কুতুবউদ্দিন আইবকের নামানুসারে রাখা হয়েছে।
• কুতুবউদ্দিন আইবক এই মিনারের প্রতিষ্ঠাতা বলে তার নামানুসারে এই নামকরণ করা হয়েছে।
১.৩ কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর কে মিনার গড়তে
চেষ্টা করেছিলেন?
উত্তর:
১.৪ মিনারেট বা মিনারিকা কী? মিনারের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়?**
উত্তর:
১.৫ আহমদাবাদ শহরটি কোন্ রাজার নামানুসারে হয়েছে? এই
শহরটি কোন্ রাজ্যের রাজধানী?
উত্তর:
২. নীচে যাদের নাম রয়েছে, তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও: কানিংহাম, ফার্গুসন, সৈয়দ আহমেদ।
উত্তর:
৩. কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১ ‘কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার’- এই উদ্ধৃতিটির আলোকে মিনারটির পাঁচটি বিশিষ্টতা উল্লেখ করো।
উত্তর:
৩.২ মিনারটির গঠনে হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারাটি কীভাবে ধরা পড়েছে তা লেখো।***
উত্তর:
৩.৩ কুতুবমিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক আর কোন্ কোন্ স্থাপত্যকীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন?
উত্তর:
৩.৪ আলাউদ্দিন খিলজী চেষ্টা করেও কুতুব মিনারের চেয়ে মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি কেন?
উত্তর:
সংযোজিত প্রশ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১. পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার কোন্টি?
উত্তর:
২. কুতুবমিনারের কয়টি তলা?
উত্তর:
৩. সমস্ত মিনারটি কী দিয়ে ঘেরা।
উত্তর:
৪. মিনারটি কীভাবে ভেঙে পড়েছিল?
উত্তর:
৫. মিনারটি কারা মেরামত করেছিলেন?
উত্তর:
৬. মিনারের খোদাইয়ের কাজ কারা করেছিলেন?
উত্তর:
৭. কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দিতে চেয়েছিলেন কোন্ রাজা?
উত্তর:
৮. মিনার কাকে বলে?***
উত্তর: ৯. মিনারিকা কাকে বলে?***
উত্তর:
১০. ভুবনবিখ্যাত একটি মিনারিকার নাম লেখো।
উত্তর:
১১. আমেদাবাদের নাম কার নাম অনুসারে?
উত্তর:
১২. আমেদাবাদে বিখ্যাত মিনারিকা কোন্টি?
উত্তর:
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১. ‘কুতুব পাঁচতলার মিনার।’ কুতুবমিনার সম্পর্কে এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।**
উত্তর:
২. “ইমারত তৈরি করা কত সোজা।”- লেখকের একথা বলার কারণ কী?
উত্তর:
৩. মিনারিকা কী? কুতুবমিনার প্রসঙ্গে মিনারিকার উল্লেখের কারণ কী?
উত্তর:
৪. রানি সিপ্রির মসজিদের মিনারিকার নিজস্ব মূল্য কেন আছে
বলে লেখক মনে করেন?
উত্তর:
ব্যাকরণের সহজ পাঠ
১. পদান্তর করো: স্বীকার, পৃথিবী, দুঃসাহস, চিহ্ন। উত্তর: স্বীকার (বি)-স্বীকৃত (বিণ)। পৃথিবী (বি)- পার্থিব (বিণ)। দুঃসাহস (বি)- দুঃসাহসী (বিণ)। চিহ্ন (বি)- চিহ্নিত (বিণ)
২. সন্ধিবিচ্ছেদ করো: সোৎসাহে, দ্যুলোকে, সন্দেহ, সর্বাঙ্গ। উত্তর: সোৎসাহে – স + উৎসাহে, দ্যুলোকে- দিব্ + লোকে, সন্দেহ- সম্ + দেহ, সর্বাঙ্গ- সর্ব অঙ্গ।
৩. বিপরীত শব্দ লেখো: সামঞ্জস্য, সাহস, মিলন, বিখ্যাত। উত্তর: সামঞ্জস্য-বৈষম্য, সাহস-ভয়, মিলন-বিরহ, বিখ্যাত-