প্রকৃতি: বন্য শাকসবজি যা বহুবর্ষজীবী সবজি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে তা হ’ল একটি বনজ উদ্ভিদ। এটি এমন জায়গায় ভাল ভাবে বৃদ্ধি পায় যেখানে বাড়ির ছায়া, খাল, পুকুর ইত্যাদি থেকে কাঁঠাল থাকে। এই কোনাশিমলু আসাম এবং সারা ভারতে পাওয়া যায়।
বৈশিষ্ট্য: কানাশিমলু চোখের রোগের জন্য একটি রামবাণ। এর শাখা বা পাতা ছিঁড়ে গেলে নির্গত সেদ্ধ আঠালো জল ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কানশিমালুর ফুটন্ত পানি চোখে লাগালে অসিনাইয়ের ব্যথা কমে এবং রোগ পুরোপুরি নিরাময় হয়। কানশিমালুর ফুটন্ত পানির সঙ্গে কালো তুলসী পাতা মিশিয়ে একটি বোতল পরিষ্কার করে চোখে চেপে ধরলে চোখের জাল বা ছানি রোগ নিরাময় হয়। গোড়াই বা চেং মাছের সঙ্গে কানা শিমলুর কোমল ডাল ও পাতা রান্না করলে নারীদের ঋতুস্রাবের রোগ নিরাময় হয়। কানশিমালুর কোমল ডালপালা ও পাতা ভিমকলের পানি ও ভাত-ধোয়া পানিতে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের জ্বালা নিরাময় হয়।
রান্না: কোনা শিমলু একটি বন্য উদ্ভিজ্জ-বন উদ্ভিদ যা সবজি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি 101 টি শাকসব্জির সাথে মিশ্রিত করা যেতে পারে এবং রান্না করা যেতে পারে।